শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ভারতের উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জোশীমঠের কাছে তুষারধসের ঘটনায় ধোলিগঙ্গায় পানির স্তর হু হু করে বাড়তে শুরু করে। তীব্র পানির স্রোতে একের পর এক গ্রাম ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যেই ১শ থেকে ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুত প্রকল্পও তুষারধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তুষারধসের সময় ১৫০ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, অনেকেই পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। তাদের ভাগ্যে আসলেই কী ঘটেছে তা এখনও অনিশ্চিত। হতাহতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে তিনি জানিয়েছেন, ১০০ থেকে ১৫০ জনের মতো মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রেইনি গ্রামের তপোবন এলাকার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তুষারধসের কারণে বাঁধ ভেঙে নদীর দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীব্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২শ জনের একটি উদ্ধারকারী দল। চামোলি থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার রাস্তায় ইতোমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তার সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। তিনি বলেন, ‘পুরো দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে। বিপন্ন মানুষদের জন্য প্রার্থনা করছে দেশবাসী। আমি নিজে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্ধার কাজের প্রতি মুহূর্তের খবর রাখছি আমি।’
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছে যে কাউকে সতর্ক করার সময়ও পাওয়া যায়নি। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের কোনো ধারণা নেই যে কতজন নিখোঁজ রয়েছে।