শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
ভালোবাসার গন্ধ (স্নেহমিতা)
।।এ কে এম শামীম আহমেদ।।
“স্নেহমিতা” মনে আছে কি?
তোমার বুকে মুখ গুজে বলে ছিলেম বড্ড বেশি প্রেম খুঁজে পাই ওখানটায়।
কোথাও হারিয়ে গেলে তুমি, ঠিক খুঁজে নেবো তোমায়।
কেননা তোমার শরীর জুরে আমার প্রেমের গন্ধ ভরা।
তুমি হেসে ছিলে খুব, বলে ছিলে প্রেমে পড়লে প্রেমিকেরা বেশ মিথ্যেবাদী হয়।
তোমার বুকে নাকি ঘামের গন্ধ ভরা, ওখানে আছে নোনাজলের রোমাঞ্চকর ঢেউ।
একবার স্নান হলেই মুখ ঘুরিয়ে বিদায় নেবো প্রেমের মঞ্জিল হতে।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখেছি সেদিন তোমায়,
বুকে চেপে হৃদয়ে হৃদয় রেখে বলেছিলেম তুমি আমার গঙ্গা,
একবার নয় বারবার স্নানেও মুখ ফিরাবো না।
তোমায় ছুঁয়ে দিয়েই আমি পবিত্র হই, লোকে যাকে কলঙ্ক বলে।
হ্যা “স্নেহ” তোমায় ভালোবেসে আজন্মকাল পাপ করে যাবো,
তোমায় ছুঁয়ে দিয়ে সেই পাপ ধুয়ে দেবো রোজ।
বলে ছিলে সেদিন,তোমার নাকি বড্ড হাসি পায়,
উপরে চোখ তুলে জানতে চেয়েছিলে ভগবানের কাছে কতটা সত্যবাদী আমি।
ভগবান চুপ ছিলো বলে তুমি ও হেসেছিলে খুব।
“স্নেহমিতা” কতদিন হলো দেখা নেই আমাদের,
আধুনিক প্রযুক্তির সকল সুযোগ হাতের খুব কাছে তবু ও তুমি সাধ্যের বাহিরে।
ইচ্ছের গভীরে তুমি সমস্ত অনুভূতি নিয়ে খেলে চলো,
তবু ও তুমি স্পর্শের বাহিরে, স্বপ্নে দাগ কেটে চলো বুকে,
চির অনিদ্রায় রেখে আমাকে।
বিশ্বাস কর “স্নেহ” এখনও ঠিক আগের মত প্রেমের গন্ধ খুঁজে চলি,
গভীর রাতে নিস্তব্ধ পৃথিবী যখন ঈশ্বরের মুখোমুখি দাঁড়ায়,
অতন্দ্রী নয়নে আমি ও গিয়ে খবর নেই তোমার,
ভগবান তো রোজ বলে তুমি বেশ ভালো আছ।
জানো “স্নেহমিতা” শ্মশানঘাটে সবাই শরীর পোঁড়া গন্ধ পায়,
আর আমি এখন ও আমার ভালোবাসার গন্ধ খুঁজে পাই,
হাসবে তো জানি হেসে ওঠো তুমি, যতটা পারো হেসে ওঠো।
আমি শরীর পোঁড়া গন্ধ পাইনা কেবল ভালোবাসার গন্ধ পাই,
শুধু ভালোবাসার গন্ধ পেতেই রোজ শ্মশানঘাটে ছুঁটে যাই।
তুমি তো এখন ভগবানে খুব কাছে, হয় তো এখনি রয়েছে তার সাথে,
বিশ্বাস না হলে জানতে চেয়ে দেখ কতটা ভালোবাসার গন্ধ লেগেছিলো তোমার শরীর পোঁড়া গন্ধে,
দেখবে ভগবান ও অঝরে জল ছেড়ে দেবো দুনয়নে।