শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী স্বাস্থ্য।।
মাথাব্যথার সাথে ঘুমের একটা সম্পর্ক আছে, ভালো ঘুমের জন্য এগারোটি গাইড লাইনের কথা এখানে উল্লেখ করা হলো-
১. ঘুম ততোটুকুই হওয়া প্রয়োজন, যতটুকু হলে পরদিন সকালে ফ্রেস লাগে, ভালোলাগে তার চেয়ে বেশি নয়। বিছানায় অযথা সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। অনেকক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকলে হাল্কাহাল্কা, ভাঙাভাঙা ঘুম হয় এটা ভালো না।
২. প্রতিদিন সকালে একটি বিশেষ সময়ে ওঠার নিয়ম পালন করতে হবে। তাতে শরীরের ‘ঘুম-জাগা-চক্র’টি ভালো থাকে।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম সুস্থ-স্বাভাবিক শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন আর উত্তম ঘুমের জন্য তো বটেই।
৪. হঠাৎ উচ্চশব্দ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, অনেকে জেগে যান কিন্তু মনে রাখতে পারেন না সেটা পরদিন। ভালো ঘুমের জন্য সাউন্ড প্রোটেকটেড রুম হলে ভালো হয়। বিশেষ করে যেখানে ওই ধরনের আওয়াজ পাওয়া যেতে পারে।
৫. অতিরিক্ত গরম ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তেমনি অতি ঠাণ্ডাও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এজন্য প্রয়োজন দেশের আবহাওয়া নির্বিশেষে ‘না ঠাণ্ডা না গরম’ রুম।
৬. খালি পেটে ঘুমানো উচিত না, কারণ খালি পেটে ঘুম ভালো হয় না। সে রকমভাবে ভরা পেটেও ঘুম আসে না। সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ঘুমানোর একঘন্টা আগে হালকা খাবার খেয়ে নেয়া।
৭. দীর্ঘ্যমেয়াদি ঘুমের সমস্যায় যারা ভোগেন, স্লিপিং পিল তাদের জন্য মাঝেমাঝে ভালো কাজ করে। কিন্তু যারা প্রায় দিনই স্লিপিং পিল খান তাদের জন্য ভালো কাজ করে না।
৮. সন্ধ্যার পরে কফি পান একেবারেই নিষেধ। কফি ঘুমে ডিস্টার্ব করে। অনেকে বলেন, তাদের ঘুমে কোনো ডিস্টার্ব হয় না, তাদের ক্ষেত্রেও ঘুমে অসুবিধা হয়, কিন্তু তারা বুঝতে পারেন না।
৯. অ্যালকোহল বা মদজাতীয় পানীয় ঘুম আনতে সাহায্য করে, কিন্তু ঘুমের প্রহর যত পার হতে থাকে অ্যালকোহল ঘুমের ততোই অসুবিধা সৃষ্টি করে। উপরন্তু সকালে উঠে মাথাব্যথা তো আছেই।
১০. যারা ঘুম আসছে না বলে রেগে যান বা হতাশাবোধ করেন, তারা ওই সময়টা বিছানায় শুয়ে না থেকে পাশের ঘরে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। পরে ঘুমঘুম ভাব এলে ঘুমাতে যাবেন।
১১. ধূমপান ত্যাগ করুন। ধূমপানে ঘুমের অসুবিধা হয়।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।