শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
নীলফামারির সৈয়দপুরে ফেরি করে বাদাম বিক্রির পাশপাশি পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন আব্দুল আলিম (৩৩)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) নিজেকে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয় দিয়ে এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন বগুড়া সদরের পলাশ বাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে।
এর সূত্র ধরে ১৮ জুন বগুড়ায় ওই মেয়ের বাড়ি এসে বিয়ের বিষয়ে অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন। মেয়ের অভিভাবকরা তার বাবাসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুল আলিম বলেন, তার অভিভাবকরা এই বিয়েতে রাজি হবেন না, তাই তিনি তাদের অজান্তেই বিয়ে করতে চান। এক পর্যায়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করে ওই রাতেই বিয়ের পর্ব শেষ হয়।
বিয়ের কয়েকদিন পর স্থানীয়দের সন্দেহ হলে এ খবর তারা পুলিশকে জানায়। পরে বগুড়া সদর থানার এসআই বেদার উদ্দিন ওই এলাকায় গিয়ে আব্দুল আলিমের সঙ্গে কথা বললে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পরে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে পুলিশ তাকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশকে আব্দুল আলিম জানিয়েছে, তার বাড়ী গাজীপুর জেলার কামারজুড়ী এলাকায়। সে ওই এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবত নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনে ফেরি করে বাদাম বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এর পাশাপাশি সে সৈয়দপুরের একটি ফাঁড়িতে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। তার আরও তিনটি স্ত্রী আছে এবং সে দুই সন্তানের জনক।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, ‘এ ঘটনায় আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।’