রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
মাঝে একটিমাত্র দিন। এরপরই শুরু হবে ভোটগ্রহণ। তবে এরই মধ্যে কয়েকদিন ধরে রাত জাগতে শুরু করেছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের কর্মী- সমর্থকেরা। উদ্দেশ্য ভোট কেনা-বেচা ঠেকানো। প্রার্থীরা রাতেই এ কাজটা করতে পারেন—এমন আশঙ্কা থেকেই নিজ উদ্যোগে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাত জাগা কষ্টকর হলেও নির্বাচনের আগের রাত পর্যন্ত চলবে তাদের এ পাহারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ইসলামপুর উপজলার পলবান্ধা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর, সিরাজাবাদ, মেরাকাদি এবং চরপুটিমারী ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর গ্রামে গিয়ে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে। এসময় দেখা যায়, বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকরা রাস্তার পাশে, বাড়ির পেছনে দুই থেকে তিনজন করে খড় বিছিয়ে শুয়ে আছেন।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটের আর মাত্র দুই রাত বাকি। তাই শেষ মুহূর্তে কেউ যেন ভোটারদের টাকার লোভ দেখিয়ে নিজের দিকে ভোট টানতে না পারেন সেজন্য তারা পাহারা বসিয়েছেন।
সিরাজাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আকরাম মিয়া বলেন,‘ মানুষ চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দেয়। আমরা ভোট বেচা-কেনা ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। আমরা পাহারা না দিলে রাতের অন্ধকারে টাকার লোভ দেখিয়ে কিংবা ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের সাধারণ ভোটারদের থেকে ভোট নিয়ে নেবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত ছয়জন, ইসলামী আন্দোলনের ছয়জন, জাতীয় পার্টির (জাপা) দুজন এবং স্বতন্ত্র ১৫ জনসহ চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২৯ জন প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ১৬৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হোসেন আরা বলেন, ‘টাকা লেনদেন করার বিষয়টি আমি জানি না। তবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে ভোট কেনা-বেচা প্রতিহত করতে রাত জেগে পাহারার কথা শুনে খুবই ভালো লাগছে। তবে কারও বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।