শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি (পিরোজপুর)।।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বরোচিস হাওলাদার শিবু নামের এক স্কুল শিক্ষক স্ত্রী, সন্তান রেখে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে নাম পরিবর্তণ করে (সিয়াম হাওলাদার) সুমি আক্তার নামে অনার্স পড়ুয়া কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। কিছু দিন সংসার করার পরে পূণঃরায় আগের ধর্মে ফিরে গেলে সুমি আক্তার বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলাটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। স্বরোচিস হাওলাদার শিবু উপজেলার দক্ষিণ কবুতরখালী গ্রামের সাবেক পল্লী চিকিৎসক স্বপন কুমার হাওলাদার ছেলে ও ১০১ নং মাথাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজ ছাত্রীকে লম্পট স্বরোচিস প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। ধর্মের বিষটি সুমি জানতে পারলে স্ত্রী, সন্তান রেখে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে এফিডেভিটের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে স্বরোচিস নাম পরিবর্তণ করে সিয়াম হাওলাদার নাম রাখে। পরে খুলনায় গিয়ে জনৈক কাজীর মাধ্যমে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক রেজিঃকৃত বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করায় সুমী আক্তার গর্ভবতী হয়। সিয়াম চাপ সৃষ্টি করে তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করে। গত ৩ জানুয়ারী সিয়াম হাওলাদার (স্বরোচিস) সুমীকে ঢাকা থেকে নিয়ে এসে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে পিত্রালয়ে ফেলে রাখে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়- এক সন্তানের জনক স্বরোচিস একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। সে ইতোমধ্যে ওই ছাত্রীসহ চার নারীকে বিয়ে করেন। এরমধ্যে দুই স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্বরোচিসকে একাধিকবার ফোন (০১৭১২-৮১৩৪৯৩) দিলেও পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। শুনানীর জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ সময় চেয়ে আবেদন করায় শুনানীর জন্য পরবর্তী তারিখ দেয়া হবে।