সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী স্বাস্থ্য।।
১. স্থির: হুট করে রেগে যাওয়া কিংবা কোনো ঘটনার কথা শুনে অল্পতেই প্রতিক্রিয়া দেখাই আমরা। প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য আমরা কখনও বেছে নিই ফেসবুকের নীল দেয়াল, আবার কখনও অন্যের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। যেকোনো পরিস্থিতিতে সবসময় আমাদের স্থির মনোভাব প্রদর্শন করা উচিত।
২. ধীর গতিতে এগোন: যদি সম্ভব হয় কোনো ঘটনার সাথে সাথে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন। ধৈর্য ধরে যতটা সম্ভব সঠিক তথ্য ও ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করুন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত ও পেছনের কারণ নিয়ে নিজেকে বারবার প্রশ্ন করুন।
৩. ইতিবাচক থাকুন: যে কোনো ঘটনার সময়ই আমরা মানসিক চাপ অনুভব করি। চাপের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়ি, বিক্ষিপ্ত হয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। এমন পরিস্থিতিতে যতই আমরা ঘটনা নিয়ে ভাববো, কারণ অনুসন্ধানে মনকে ব্যস্ত রাখব, ততোই আমাদের শান্ত থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। পরিস্থিতি নিয়ে এটা হলে কেমন হতো, ওটা না হলে কেমন হতো- এমন দ্বিধায় জড়াবেন না। সব সময়ই নেতিবাচক কথা মন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। যে কোন পরিস্থিতিতে ইতিবাচকভাবে মনকে স্থির রাখুন।
৪. শরীরের যত্ন নিন: যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা একদিনের অভ্যাসে তৈরি হবে না। শরীরের যতœ নিতে হবে নিয়মিত। টুকটাক ও হালকা ব্যায়াম করুন প্রতিদিন। পরিমাণমতো ঘুমাতে হবে। যোগব্যায়াম করে মনে প্রশান্তি আনুন।
৫. ক্যাফেইনকে ‘না’ বলুন: উত্তেজনাকর যেকোনো মুহূর্তে পারতপক্ষে চা-কফির মাত্রা কমিয়ে দিন। চা-কফির ক্যাফেইন আমাদের উদ্দীপ্ত করে, অ্যাড্রেনালিন হরমোনের প্রভাব বাড়িয়ে আমাদেরকে আরো উত্তেজিত করে দেয়। উত্তেজনাকর যেকোনো মুহূর্তে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে পারেন।
৬. বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন: যেকোনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নিজের মতামত প্রকাশের আগে বন্ধু বা বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ নিতে পারেন। আপনি হয়তো যেভাবে ভাবছেন, আপনার বন্ধুর ভাবনা অন্যরকম হতে পারে। অন্যের ভাবনা জানলে আপনার প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন আসতে পারে। আবার বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ নিলে পরিস্থিতির কারণগুলো আপনি বেশ পরিষ্কার জানতে পারেন।
৭. নিজেকে মুক্ত করুন: খুব চাঞ্চল্যকর কোনো ঘটনায় আমরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বাহবা নিতে চেষ্টা করি। এমনটা কখনও করবেন না। চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য নিজেকে সরিয়ে নিন অন্যকোনো কাজে। পার্কে ঘুরে আসতে পারেন কিংবা নিজের কোনো প্রিয় বইয়ের পাতায় নিজেকে সরিয়ে নিন।
৮. রাগ-প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে শিখুন: অন্যের ওপর রাগ প্রদর্শন আমাদের অনেকেরই বাজে অভ্যাস। রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। রাগ সহজাত একটি আবেগ, যা নিয়ন্ত্রণ করতে কৌশলী হতে হবে। অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে অন্যদের মতামত জানতে হবে। অন্যের কথাকে সম্মান জানিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে হবে।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।