শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
মেহেদী হাসান মুবিন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)।।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শীতের শুরুতেই উপজেলার বিভিন্ন ফুটপাতের ওলি-গলিতে জমে উঠেছে ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রির ধুম। সন্ধ্যার পর পরেই পিঠা বিক্রির দোকান গুলোতে স্বাদ নিতে ভীর জমায় নানা শ্রেনী পেশার মানুষ।
সরোজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদরের কলেজ রোড,মাজার মোড়, পাইলট স্কুলের সামনে, সিং বাড়ি বাজার, কাকড়াবুনিয়া বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ওলি-গলিতে রাস্তার মোড়ে-মোড়ে চলছে পিঠা বিক্রির ধুম। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরেই জমে উঠে পিঠা বিক্রি। নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ এসব দোকানে পিঠা বিক্রি করেন।
পিঠা বিক্রেতা সালমা,মালেক মিয়া, মেহরেুন নেছা জানান, আমরা সারাদিন বিভিন্ন কাজে ব্যাস্থ থাকি, বাড়তি আয়ের জন্য শীতকালে সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করি। এসবের মধ্যে রয়েছে নতুন চালের গুড়ো ও খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় ভাপা পিঠা। বেশী স্বাদের জন্য দেওয়া হয় নারিকেলের গুড়া। ভাপা পিঠা ছাড়াও ক্রেতাদের জন্য তৈরি করা হয় চিতাই পিঠা। চিতাই পিঠা খাওয়ার জন্য সরিষা, মরিচ, সুটকিসহ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দেওয়া হয় ফ্রী। প্রতি পিচ পিঠা বিক্রি করা হয় ৫ টাকায়।
পিঠা তৈরির বিষয় জানতে চাইলে মেহেরুন নেছা জানান,ভাপা পিঠা তৈরিতে একটি পাতিল ও মাঝখানে ছিদ্রযুক্ত ঢাকনা ব্যবহার করা হয়। জলন্ত চুলার উপর পাতিলে পানি দিয়ে ঢাকনা দেওয়ার পর আটা,চালের গুড়া ও কাপড় দিয়া ঢাকনার চারপাশ শক্ত করে মুড়ে দিতে হয়, যাতে গরম পানির ভাব বের না হয়।পরে ছোট একটি গোল পাত্রের মধ্যে চালের গুড়া, নারিকেলের গুড়া ও গুড় মিশিয়ে পাতলা কাপড়ের আবারনে ঢাকনার মুখে রাখা হয়। পানির গরম ভাপে নিমিষেই সিদ্ধ হয়ে যায় নতুন চালের ভাপা পিঠা।
পিঠা বিক্রেতা মালেক মিয়া বলেন, শীত আসতেই দোকানের কাজের চাপ ভেড়ে যায়। পিঠা বানানো থেকে সব কিছু করতে হয়।ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে আমি ৫ টি চুলায় পিঠা তৈরি করি। প্রতিদিন ১০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করি, বিকলে ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রির কাজ।