বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ, ১৪৩১
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী।।
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেহাল দশা হয়েছে। অযত্নে অবহেলায় প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ও বইপত্রগুলো নোংরা হয়ে গেছে। মরিচা ধরেছে ক্লাসরুমের দরজার তালায়। মাঠ জুড়ে লম্বা ঘাস, আগাছা, আবর্জনা আর পচে যাওয়া লতাপাতাসহ ভাঙা গাছের ডালে ভরে গেছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরাজ করছে ভূতুড়ে পরিবেশ।
সরেজমিনে, উপজেলার মজিদবাড়িয় ইউনিয়নের তারাবুনিয়া হাবিবীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা যায়, স্কুলে একটি মাত্র ভবন তা অনেক আগে থেকেই বেহাল তাই পাশে ছোট টিনসেট রুমে ক্লাস নিতে হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আর সেই টিনসেটে নিচু জায়গায় হওয়ায় মাকড়সার জ্বাল, ধুলো, পোকা মাকড়ে ছেয়ে গেছে শ্রেণীর কক্ষগুলো।
ইউনিয়নের মজিদবাড়িয়া হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়রে পুরাতন ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী তাই বর্তমানে দুই রুম বিশিষ্ট একটি ঘরে ক্লাস নিতে সমস্যা হবে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
অন্যদিকে দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়নের চন্দ্রকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি একটি ঝুপড়ি ঘর। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার পরিবেশ বিপন্ন। ক্লাস রমে পানি জমাটবাধাঁ, বৃষ্টির পানি পড়ে বেঞ্চ, মেঝে নষ্ট হয়ে গেছে। নোংরা অবস্থার পাশাপাশি বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় স্কুল খুললে ক্লাস করানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন প্রধন শিক্ষক।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, মির্জাগঞ্জে ১৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো সার্বক্ষণিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পরিদর্শন কর্মকর্তা নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন করছেন। এই বিষয়ে শিক্ষকদেরও অনুপ্রাণিত করা হয়েছ। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।