শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
মোঃ রেদোয়ানুল ইসলাম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)।।
কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অধিকাংশরাই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এক টুকরো লোহার ফাল দিয়ে তৈরি লাঙল, জোয়াল আর বাঁশের তৈরি মই এই স্বল্প মূল্যের কৃষি উপকরণ দিয়ে জমি চাষাবাদ করতেন তারা। এবং গরু দিয়ে শত শত বছর ধরে কৃষি জমি চাষ করতেন মির্জাগঞ্জের কৃষকরা। আশির দশক থেকে বাংলাদেশের কৃষিতে পরিবেশ বান্ধব লাঙল-জোয়ালের জায়গা দখল করে নিয়েছে যান্ত্রিক পাওয়ার টিলার আর ট্রাক্টর।
এই অত্যাধুনিক যুগেও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের মাঠে লাঙল-গরুদিয়ে হালচাষ করার চিত্র চোখে পড়ে।
লাঙল-গরুদিয়ে হালচাষ করা চালিতাবুনিয়া গ্রামের পেশাদার হাল মালিক (হালুয়া) মজিদ মিয়া বলেন, এক সময়ে অন্যের জমিতে হালচাষ করে পরিবারের ভরণ-পোষণ করতেন। পূর্ব-পুরুষের এই পেশা ছাড়েননি তিনি। এখন নিজের জমিতে হাল চাষ করেন। ছোট ছোট উঁচু-নিচু জমি চাষ যা কখনো পাওয়ার ট্রলি দিয়ে সম্ভব হয় না। এসব জমি চাষে এখনো লাঙলের হাল ব্যবহার করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরাফাত হেসেন বলেন, লাঙলের হাল দিয়ে জমি চাষে অনেক সময় অর্থ ব্যয় হয় কৃষকের। এখন প্রযুক্তিতে অল্প সময় ও অর্থ খরচ করে অনায়াসে জমি চাষ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে কমছে কৃষি জমি। এক সময়ের কৃষকের সঙ্গী লাঙল, জোয়াল ও মই এসব হয়তো এক সময় চির বিশ্রামে গিয়ে জাদুঘরে স্থান পাবে আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাংলার কৃষি যুগের গৌরব মনে করিয়ে দেবে।