রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী।।
মির্জাগঞ্জে গ্রীষ্মকালীন সময়ে সর্ব প্রথম এসএসপি প্রকল্পের অর্থায়নে দেউলী সুবিদখালী ও আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে বিষমুক্ত বারোমাসি তরমুজ আবাদ করে ক্ষুদ্র কৃষকরা সংসারে সুদিন ফিরিয়ে আনছেন। পরিবেশ বান্ধব কৌশল অবলম্বন করে বছরব্যাপী তরমুজ আবাদ করছেন। তরমুজ আবাদ করে সংসারে ফিরিয়ে আনছেন আর্থিক সচ্ছলতা। সুদিনের দেখা পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সুনাম কুড়িয়েছেন মির্জাগঞ্জের কৃষকরা। তাদের উৎপাদিত ফসল দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে স্থানীয়দের মধ্যে।
শুক্রবার (০৬ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের সমীর অধিকারী, মিঠুন দত্ত, ও দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ইউসুফ হাওলাদার ১৫০ শতক জমিতে বারি তরমুজ ১ ও বারি তরমুজ ২ জাতের বারোমাসি তরমুজ ও জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করেছেন। হলুদ ও লাল রঙের তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য লাভ করবেন বলে যানাযায়।
কৃষক সমীর অধিকারীর, মিঠু দত্ত, ও ইউসুফ হাওলাদার বলেন, কৃষি অফিসার আমাদেরকে এই তরমুজ চাষ করতে উৎসাহিত করছে। এবং সার্বক্ষনিক আমাদের সহযোগীতা করে আসছেন। এখন থেকে মাচান পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করতে তার ৪৫-৪৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরাফাত হোসাইন বলেন , দুই ধরনের তরমুজ েরয়েছে যেমনঃ বারি তরমুজ ১ বারি তরমুজ ২ উৎপাদনে সময় লাগে কম। সে হিসেবে এটি খুবই লাভজনক। বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ বাদে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব এ জাতের তরমুজে। প্রতি হেক্টরে ২২-২৩ টন পর্যন্ত উৎপাদন করা সম্ভব। এই দুই জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন চাষীরা। আগামীতে কৃষকদের মধ্যে এ জাতের তরমুজ আরো বেশি জনপ্রিয়তা পাবে। এভাবে তরমুজ চাষের মাধ্যমে তারা যাতে বাড়তি আয় করে সংসারে সুদিন ফেরাতে পারেন সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ এবং সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছি।