শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ইউপি সদস্য মোঃ মোজাম্মেল ও অমলের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা ও ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাদের ওয়ার্ডের লোকজনের কাছে থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল সুপরিকল্পিতভাবে কৌশলে অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে তার এলাকার হামিদা বেগম ( ৬৬) কাছ থেকে বিধবা ভাতা দেওয়ার কথা বলে ৩ হাজার, রাজিয়া বেগমের কাছ থেকে ২ হাজার, বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে রহমান খান (৭০) এর কাছ থেকে ৩ হাজার, আবুল কালাম হাওলাদার থেকে ৩ হাজার, মোমেলা বেগম (৪৮) এর থেকে ৩ হাজার এবং ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে রেনু বেগমের থেকে ৩ হাজার টাকাসহ এলাকার বিভিন্ন দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২-৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও তারা কেউ আজ পর্যন্ত ভাতার কার্ড বা ঘর পাইনি বলে জানা যায়।
এমনকি ৪৮ বছর বয়সী কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন ওই ইউপি সদস্য। এছাড়াও ওই একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শ্রী অমল তার এলাকায় বিধবা ভাতা দেওয়ার কথা বলে জরিনা বেগমের থেকে ২হাজার ৫০০ এবং বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে আঃ রশিদ ফকিরের থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা সহ বিভিন্ন লোকের কাজ থেকে ভাতা দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
হামিদা বেগম জানান, বিধবা ভাতা দেওয়ার জন্য মোজ্জামেল মেম্বরকে ১ বছর আগে ৩ হাজার দিয়েছি। এখনও ভাতা পাইনি।
রিজিয়া বেগমের ছেলে মোঃ সেলিম বলেন, বিধবা ভাতার জন্য মোজাম্মেল মেম্বরকে ২ হাজার টাকা দিয়েছি। সে বলেছে অপর এক ভুক্তভোগী জরিনা বেগম বলেন, বিধবা ভাতার জন্য অমল মেম্বারকে ১ বছর আগে ২৫ শত টাকা দিয়েছি। নাম আসলে আরও ৫ শত টাকা দেওয়া লাগবে সে বলেছে। কিন্তু ভাতা তো পাইলাম না।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ মোজাম্মেল বলেন, ভাতা দেওয়ার নামে আমি কারও কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি।
ইউপি সদস্য শ্রী অমল এর ফোন (০১৭১৪৩০১৪৮৪) নম্বরে বারবার কল করলেও সে রিসিভ করেনি।
মজিদবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম সরোয়ার কিসলু বলেন, এব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, এব্যাপারে এখন কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।