শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ, ১৪৩১
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী।।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী (২৩) কে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শামসুল হক (৪০) নামের মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কে আসামি করে আদালতে পিটিশন মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে গত (৩১ মে) মামলা করা হয়। মামলার বাদী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালি ইউনিয়নের বাজিতা তৃতীয় খন্ড গ্রামের হাকিম ব্যাপারীর মেয়ে ও পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
মামলায় উপজেলার মাধবখালি ইউনিয়নের সৌজলিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শামসুল হকসহ অজ্ঞাত আরো দু-তিন জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আইনজীবী জানান, পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মোঃ মাইনুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এক সন্তানের জনক শামসুল হক বাজিতা তৃতীয় খণ্ড গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে এক বছর যাবৎ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে সে রাজি না হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে নালিশ করেন। নালিশের জেরে গত বুধবার (২৫ মে) সকাল ৯ টায় ভুক্তভোগীর ভাইকে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের সড়কে একা পেয়ে শামসুল হকের নেতৃত্বে আরে দু-তিনজন মিলে মারধর করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তিনদিন পরে শনিবার (২৮ মে) বিকেলে অভিযোগের বিষয় খোঁজ-খবর নিতে থানায় যান । সেখান থেকে ফেরার পথে ঘটনার দিন রাত ৮ টায় বাজিটা চতুর্থ খন্ড এলাকায় শামসুল হকের নেতৃত্বে দু-তিনজনে পথ রোধ করে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে জোর জবরদস্তি করে পরনের কাপড় চোপড় ছিড়ে ফেলে টেনে হিচরে রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ধস্তাধস্তিতে মুখের গামছা সরে গেলে ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে শামসুল হকসহ তারা পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী জানান, এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
মামলার বিষয়ে জানতে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত শামসুল হকের মুঠোফোনে কল করলে ব্যস্ততার অজুহাতে ফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ পরিদর্শক সূজন দাস বলেন, অফিসিয়াল ভাবে মামলাটি পেয়েছি। মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। তদন্ত করে যথাসময়েই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।