শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলায় অর্ধেকের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের শিক্ষক। তাই উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের আবশ্যিক বিষয়টিতে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিষ্ঠানগুলোয় চাহিদা মতো শিক্ষক না দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী উপজেলায় ৭টি কলেজ, ২টি কারিগরি কলেজ, ১৯টি মাদ্রাসা, ৩৪টি মাধ্যমিক ও ৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তারমধ্যে মাত্র ৩১টি বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষক রয়েছে।
একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা রূপালী বার্তাকে জানান, শিক্ষক না থাকায় অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে এ বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিভাগ নেই, সমাজবিজ্ঞান শাখার শিক্ষকদের ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আইসিটি পাঠদান করানো হচ্ছে।
উপজেলার সফিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো যাচ্ছে না।
সৈয়দেরগাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইউসুফ খান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক না থাকায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক দিয়ে আমাদের পাঠদান করা হয়েছে।’
চরকালেখান আদর্শ কলেজের আইসিটি শিক্ষক আনিচুর রহমান জানান, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আইসিটির পাঠ্যক্রম অনেক বিস্তৃত। মাধ্যমিক পর্যায়ে অনেক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে যথাযথ শিক্ষা পায় না। তাই উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সমস্যায় পড়ে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের। প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাহিদা পাঠান। এনটিআরসিএ যাঁদের সুপারিশ করেন, শুধু তাঁদের নিয়োগ দেওয়া যায়। উপজেলার শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে পুনরায় সুপারিশ পাঠানো হবে।