বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া ও ভেদুরিয়া গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা চরমালিয়া-চরপদ্মা খালের উপর বাঁশের সাঁকোটি। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের জানিয়েও সেতু না পাওয়ায় হতাশ হয়েছে এলাকাবাসী।
মুলাদী-বাবুগঞ্জ আসনের সাবেক সাংসদ টিপু সুলতান গ্রামবাসীকে সেতু করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সাঁকো সংস্কার করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়েই পার হতে হচ্ছে সেতুটি দিয়ে।
চরমালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শওকত হোসেন দুলাল জানান, চরমালিয়া-ভেদুরিয়া গ্রামের মানুষকে হাটবাজার ও স্কুল-কলেজে যেতে চরমালিয়া-চরপদ্মা খাল পার হতে হয়। আগে খাল পার হতে নৌকা ব্যবহার করতে হতো। পরবর্তী সময় এলাকাবাসী চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। চরমালিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান জানান, বড় বাজেটের ঢালাই সেতু না হোক, কম বাজেটের লোহার সেতু বানানো হলেও জনদুর্ভোগ কমত।
সফিপুর ইউপির সদস্য হান্নান চৌকিদার রূপালী বার্তাকে বলেন, গ্রামের অনেক ছেলেমেয়ে চরকালেখান কলেজ, চরকালেখান মাদ্রাসা, ভেদুরিয়া সরকারি বিদ্যালয়, সফিপুর নূর এ তাজ মাদ্রাসা, হাফেজি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে যায়। সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়েও সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়নি।
সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী রূপালী বার্তাকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ দিয়ে এত বড় সেতু করা সম্ভব নয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি নির্মাণের জন্য উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে অনেক আগেই চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান জানান, সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সাংসদের সুপারিশপত্র (ডিও লেটার) নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা যাবে।