বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা গ্রামের মৃত ফেরদৌস মোল্লার স্ত্রী মাহমুদা বেগম। জয়ন্তী নদীর পাড়ে স্বামীর মাত্র ৬ শতাংশ জমি ছিল। সেই জমির সাড়ে ৫ শতাংশ ইতিমধ্যে নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁকি আধা শতাংশও নদীগর্ভে যাওয়ার পথে। সেখানেই বাস করছেন স্বামীহারা মাহমুদা বেগম। যেকোনো সময় হারিয়ে যেতে পারে বসতভিটা। তাই মাথা গোঁজার ঠাঁই চান তিনি। স্বামী থাকতে কষ্টে দিন কাটিয়েছেন, এখনো অর্ধাহারে দিন কাটান।
জয়ন্তী নদীর ভাঙনে বাটামারা, চরবাটামারা এলাকার অনেক এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে আগেভাগেই জায়গা জমি রেখে অন্যত্র বাড়িঘর করেছেন। কিন্তু অসহায় মাহমুদা বেগম এখনোও নদীর পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।
মাহমুদা বেগম বলেন, ২০১৮ সালে স্বামী ফেরদৌস মোল্লা মারা যান। তিনি বেঁচে থাকতেই নদীভাঙনে চাষযোগ্য জমি শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে তিন মেয়ে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনো মতে চলেছি। পরে তিন মেয়ে ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করে। প্রথম দিকে খোঁজ নিলেও বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আর খোঁজ নিচ্ছে না। বর্ষার শুরু ও শেষে ভাঙন বেড়ে যায়। তাই আগামী বর্ষা মৌসুমে তাঁর ঘর নদীতে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এখন কোনো মতে চললেও ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হলে কোথায় থাকব সেই চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।
বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ সালাহ উদ্দীন অশ্রæ বলেন, অসহায় এই নারীকে চাল, ডাল, ও চিনিসহ ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়েছে। মাহমুদা বেগমের ঘর ও ভিটে নদীভাঙনের মুখে রয়েছে। কিন্তু বাটামারা ইউনিয়নে খাসজমি না পাওয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মিত হয়নি। তবে তাঁকে জমিসহ একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের আবেদন পেলে ওই নারীকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিসহ ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।