শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল মুলাদী (বরিশাল)।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী ব্যক্তিগত ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছেন। সফিপুর ইউনিয়নের বেপারীর হাট উত্তরপাড় খেয়াঘাট থেকে চরমালিয়া গ্রামের সোনা মিয়া মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করায় চরমালিয়া, কায়েতমারা, চরপদ্মা ও চরভেদুরিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের জন্য সুব্যবস্থা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে জয়ন্তীর নদীর উত্তর পাড়ে বিশাল চর জেগে ওঠে এবং সেখানে ধীরে ধীরে বসতি গড়ে ওঠে এবং প্রায় দুই হাজার মানুষের বসবাসের স্থান হলেও যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা নেই। চরমালিয়া গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় কোনো সড়ক না থাকায় সাধারণ মানুষ কষ্ট করে চলাচল করতেন। বর্ষা মৌসুমে খেতের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে না পারায় সবাইকে তিন কিলোমিটার ঘুরে সফিপুর নোমরহাট খেয়াঘাট হয়ে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়।
চার গ্রামের মানুষের সুবিধার্থে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় এবং সরকারিভাবে রাস্তা নির্মাণে ধীর গতির কথা চিন্তা করে ব্যক্তিগত অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে।
চরমালিয়া গ্রামের জানে আলম ঝন্টু তালুকদার বলেন, ‘চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান হিমু মুন্সী রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধা হবে।’ স্থানীয় বাসিন্দা ও রেল মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এইচএম রাকিব হায়দার বলেন, ‘সড়ক নির্মাণ হওয়ায় গ্রামে জনবসতি আরও বাড়বে এবং শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যাতায়াত সহজ হবে।
সফিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী বলেন, ‘ইউনিয়নের সবচেয়ে নিম্নাঞ্চলের মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’