শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার উপজেলার বাটামারা-মুলাদী সড়কের গলইভাঙা শরীফ বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন রেলিং ভাঙ্গা ও সরু সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। দীর্ঘ দিনেও মেরামত করা হয়নি সেতুটি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটি এত সরু দুটি গাড়ী পাশা-পাশি চলতে একটি বন্ধ রেখে আরেকটি চলতে হয়।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তরাঞ্চলের বাটামারা, সফিপুর ও চরকালেখান ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মুলাদী-বাটামারা সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। উপজেলার অন্যতম বৃহত্তম বাজার সোনামদ্দিন বন্দরসহ নোমরহাট, গলইভাঙা, জয়বাংলা বাজার, মুন্সীরহার, চরবাটামারা নতুন হাটের ব্যবসায়ীরা এই সড়ক দিয়ে পণ্য পরিবহণ করেন। সড়কে প্রতিদিন কয়েক শত মটর সাইকেল, অটোরিকশা, লেগুনা ও ভ্যান চলাচল করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে মুলাদী-বাটামারা সড়কের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই রেলিং ভেঙে যায়। বর্তমানে এই সেতুর কোনো রেলিং নেই। সেতুর মাঝখানে কয়েক জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা না হলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
গলইভাঙা গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, অনেক দিন আগে গলইভাঙা শরীফ বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন খালে সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন এই সড়ক দিয়ে শুধুমাত্র ভ্যান চলাচল করত। পরবর্তীতে সড়কগুলো বড় এবং পাকা হয়েছে। এলাকায় যানবাহন বেড়েছে। এখন প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে, মটরসাইকেল, লেগুনা, অটোরিকশাসহ মালবাহী ছোট ট্রাক চলাচল করে। পুরোনো এই রেলিং ভাঙা সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।
অটোরিকশা চালক আঃ মালেল বলেন, সেতুতে একটি অটোরিকশা উঠলে মোটরসাইকেল পর্যন্ত যেতে পারে না। এ ছাড়া সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এই সেতুটি দ্রুত বড় করা প্রয়োজন।
গাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দীন বেপারীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুলাদী-বাটামারা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিদিন অনেক গাড়ি চলাচল করে। লোহার সেতুটি ভেঙে বড় ঢালাই সেতু নির্মাণের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ তানজিলুর রহমান বলেন, গলইভাঙা শরীফ বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন সেতুটি ভেঙে ঢালাই সেতু নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে এবং কার্যাদেশ দেওয়ায় হয়েছে।