শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এর উৎসস্থল চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে। রূপ নিয়েছে মহামারির। তবে আগেই উহানের ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আঙুল তুলেছে আমেরিকা। এবার উহানের সেই ল্যাবরেটরি সম্পর্কে মোবাইল ডাটার মাধ্যমে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেল।
মার্কিন টেলিভিশন সংস্থা এনবিসি নিউজের এক নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকেই নাকি বন্ধ রাখা হয়েছিল উহান ল্যাব। সেলফোন বা মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া তথ্য এমনটাই বলছে।- খবর ডেইলি মেইল।
মার্কিন স্পাই এজেন্সি এই সংক্রান্ত ডকুমেন্ট খতিয়ে দেখছে। এনবিসি নিউজের হাতে রয়েছে সেই তথ্য। জানা গেছে, গত ৭ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো সেলফোন ব্যবহার করা হয়নি। যদিও ল্যাব বন্ধ রাখা হয়েছিল কিনা, তার সরাসরি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
‘ডেইলি মেইল’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেলফোন ও স্যাটেলাইট ডাটা থেকে জানা যাচ্ছে, ল্যাবরেটরি শাটডাউন করা হয়েছিল। যদিও ওই সংস্থা পরে জানায়, ওই রিপোর্ট সম্পূর্ণ নয়।
এই উহান প্রদেশের সি ফুড মার্কেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল ওই বাজার থেকেই। এতদিন পর্যন্ত এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। কিন্তু শুক্রবার এই প্রথম সংস্থাটি জানিয়ে দেয়, করোনা সংক্রমণের নেপথ্যে উহানের ওই বাজারের ভূমিকা রয়েছে।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ, পিটার বেন এমবারেক বলেন, সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে উহানের বাজারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কী হয়েছিল তা এখনো আমরা পরিষ্কার করে জানি না। তিনি বলেন, এটা এখনো স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না জীবজন্তুদের থেকেই ওই বাজারের দোকানদারদের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, ওই এলাকায় কোনো এক বিশেষ ঘটনার জন্যই উহান ইনস্টিটিউট অবভাইরোলজিতে ফোনের ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সূত্র: ডেইলি মেইল
আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার এর তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৬ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪১ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ১২ জন।
আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় সংখ্যার দিক থেকেই বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮০ হাজার ৭১৯ জনের।
মৃতের হিসাবে তালিকার দ্বিতীয়তে এবং ইউরোপের শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৮৫৫ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৫ জন।
তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে ইতালি। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৫৬০ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ৭০ জন।
এছাড়া স্পেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৬২১ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬৩ জন। ফ্রান্সে করোনায় ২৬ হাজার ৩১০ জনের মৃত্যু ও ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছে।