শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী।।
জেলেদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে অবৈধ বেহুন্দী জাল দিয়ে মাছ শিকারের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মোসলেম উদ্দিন খান এর বিরুদ্ধে। সাম্প্রতি মাসোহারার টাকা নিয়ে জেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মাসকুর হোসেনের সাথে বাক-বিতন্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে জেলে ও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলে ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কাকড়াবুনিয়া এলাকার জেলেদের কাছ থেকে জন প্রতি মাসিক ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ৮৭ হাজার ৫শত টাকার বিনিময়ে ২৫ জন জেলেকে অবৈধ বেহুন্দী জাল দিয়ে পায়রা নদীতে মাছ শিকারের সুযোগ করে দিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা। করিম নামে একজন জেলের মাধ্যমে প্রতিমাসের এই টাকা সংগ্রহ করেন তিনি।
সাহেব আলী নামে এক জেলে বলেন, জেলে করিম আমাদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে অফিসে জমা দেন। আমি দুই হাজার টাকা দেওয়াতে আমার টাকা ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। পরে আমার জালটা ধরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু যারা ৩ হাজার করে টাকা দিছে তাদের জাল ধরে না।
এ ছাড়াও সালাম মোল্লাসহ একাধিক জেলে টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা মাস শেষে কেউ ৩ হাজার কেউ সাড়ে ৩ হাজার করে টাকা দিয়ে নদীতে বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ ধরি।
মাসুদ মৃধা ও আব্বাস আলী সিকদারসহ স্থানীয়রা বলেন, ওই মৎস্য অফিসার এসে ঘোরাঘুরি করে যায়। অবৈধ জাল দেখেও কিছু বলেনা। যারা টাকা দিতে না পারে তাদের জাল নিয়ে যায়। অবৈধ জালের বিষয়ে অভিযোগ দিলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মাসকুর বলেন, অবাধে অবৈধ জাল দিয়ে পায়রা নদীতে মাছ শিকার করছে জেলেরা। মৎস্য কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে এসব দেখেও কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। এজন্য তিনি ২৫ জন জেলের কাছ থেকে মাসে ৩ হাজার ৫ শত করে টাকা দেন বলে জেলেরা আমাকে জানিয়েছেন।
জেলে করিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি কোন জেলের থেকে টাকা উঠাই না।
অভিযুক্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মোসলেম উদ্দিন খান বলেন, আমি কোন রকম টাকা পয়সা নেইনি। এসব মিথ্যা। কোনরকম অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।