শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
অনলাইন ডেস্ক।।
রংপুর নগরীর বিনোদপুর এলাকায় তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে দলবলসহ শ্বশুরবাড়িতে হামলা ও তাণ্ডব চালায় পুলিশের এক কনস্টেবল। এ ঘটনায় মামলা নিতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, রংপুর নগরীর বিনোদপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের কন্যা সুরমী আখতারের সাথে নগরীর ভগিবালাপাড়া মহল্লার পুলিশ সদস্য মহিবুল্লার সাথে ৬ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পুলিশ সদস্যকে নগদ ৭ লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করে মেয়ে পক্ষ। এক মাস না যেতেই আবারো তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে পুলিশ কনস্টবল মহিবুল। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রী সুরমী আখতারকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় পুলিশ সদস্য মহিবুল।
শনিবার (০৫ জুন) বিকেলে লালমনিরহাটে কর্মরত পুলিশ সদস্য মহিবুল তার দলবলসহ শ্বশুরবাড়ি এসে তিন লাখ টাকাসহ মেয়েকে তুলে দিতে চাপ সৃষ্টি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় শ্বশুর শহিদুলসহ স্বজনদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে মহিবুল। এ সময় এলাকাবাসী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে মহিবুলসহ তার ৬ সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বাকিরা হলেন মকবুল হোসেন, মজিদা বেগম, মোকলেসুর রহমান রতন, মনোয়ার হোসেন, আনোয়ার ও রাজু মিয়া।
এ ব্যাপারে নববিবাহিতা গৃহবধূ সুরমী আক্তারের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় লিখিত এজাহার রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় দেওয়ার পরেও শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি। বরং পুলিশ আপোষ মীমাংসা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এমনকি রবিবার (০৬ জুন) সকালেও মামলা রেকর্ড না করে আটক পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে পুলিশ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও স্বজনরা রবিবার বেলা পৌনে একটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। পরে মামলা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে তারা চলে আসে। অবশেষে রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় পুলিশ মামলা রেকর্ড করেছে বলে গৃহবধূ সুরমী আক্তারের বাবা শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আটক পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।