শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মোবাসসিরা তাহসিন ইরা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের। কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এর পেছনে প্রেমঘটিত ব্যাপার জড়িত বলে তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার একটি মেস থেকে রাবির আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে মতিহার থানা পুলিশ।
মোবাসসিরা তাহসিন ইরার বাড়ি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায়। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও মা একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
তদন্ত কর্মকর্তা ও মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিউলি খানম জানান, মামলার সুরতহালে ইরা আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার ঝুলন্ত লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে আসল রহস্য জানা যাবে।
শিউলি খানম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি প্রেমঘটিত কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি গতরাতেও মেসে কারো সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চস্বরে কথা বলেছেন, এমন তথ্য জেনেছি। তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে কার সঙ্গে কী ধরনের কথাবার্তা হয়েছে বা মোবাইলের কল রেকর্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব সংগ্রহ করলে আরো তথ্য জানা যাবে।
ইরার পরিবারও বলছে, তিনি প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার তার বাবা-মায়ের সঙ্গে তার মরদেহ নিতে রাজশাহীতে আসেন ভগ্নিপতি ইজাজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গতরাত দেড়টার দিকে ইরার এক বান্ধবী ফোন করে জানায় সে আত্মহত্যা করেছে। ইরার সঙ্গে সাব্বির নামের এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি থাকেন চট্টগ্রামে। তাদের প্রেমের সম্পর্কে ঝামেলা চলছিল, কিন্তু আত্মহত্যা করবে এমনটা আমরা কখনো ভাবিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইরার সঙ্গে ওই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ৩-৪ বছরের। সে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে পড়তো। ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবাদে হয়তো ওই ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়।’ এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।
ইরার মেসে থাকা এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাদের সম্পর্কের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হতো। মাঝে মাঝেই তারা ঝগড়া করতেন। তিনি এ নিয়ে হতাশায় থাকতেন, মন খারাপ করে থাকতেন।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রোববার ইরার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে মরদেহ এলাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা।