বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০
অনলাইন ডেস্ক।।
জেলার উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির সময় দুইজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- মোহাম্মদ হাশিম ও নুর হাবা।
পুলিশের দাবি, হাশিম সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার সক্রিয় সদস্য।
‘পুলিশের গুলিতে’ হাশিম নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের পালটা গুলিতে নুর হাবা মারা যান।
ফারুক আহমেদ জানান, ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৭ নম্বর ব্লকে মসজিদের পাশে আরসা সন্ত্রাসী লালুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীরা। তাদের গুলিতে নুর হাবা নামে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হন। তিনি ওই ক্যাম্পের নুরুল ইসলামের স্ত্রী।
পরে পুলিশ রোহিঙ্গাদের ও নিজেদের জীবন বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের ওপর পালটা গুলি চালায়। সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে দিগ্বিদিক পালাতে থাকে। দৌড়ে পালানোর সময় আরসা সন্ত্রাসী সাদেককে একটি অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ।
পরে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে ঘটনাস্থলে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাশিমের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হয়েছে।
হাশিম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ।