শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী ডেস্ক॥
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম-এমপি বলেছেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের একটা চিন্তাভাবনা হলো তারা সরাসরি কাজ চায়। কাজের জন্য তাদের যে একটা প্রস্তুতির দরকার অর্থাৎ যে কাজ করবে, সেই কাজের মানের কাছে আসার চিন্তা করে না। তারা মনে করে বসিয়ে দিলে কাজ শিখে নেবে অর্থাৎ তারা সর্টকাট টু লাইফ চায়। কিন্তু লাইফে কোন সর্টকাট নেই। লাইফকে যদি বাড়াতে হয় তাহলে নিজের ভিতটাকে মজবুত করতে হবে। ভিতকে মজবুত করতে হলে তার হাত দুটোকে শক্তিশালী করতে হবে।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় বরিশাল টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (টিটিসি) ২৭৫তম ব্যাচের প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরন এবং ২৭৬তম কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েও আমার মন্ত্রনালয়ে ছেলেদেরকে চাকুরি দিতে পারি না। কারণ তারা সেটার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না, তাহলে আমি কিভাবে চাকুরি দিব। আবার আমার যদি নিজস্ব ফার্ম বা কোম্পানি বা গার্মেন্টস থাকতো সেখানেও চাকুরি দিতে গেলে আমি যোগ্যতার বিষয়েই গুরুত্ব দিতাম।
কারণ যে মেশিনটা চালাতে পারবে না, তাকে সেই চাকুরি কখনোই দিব না। সুতরাং এই সোজা জিনিসটা সবাইকে বুঝতে হবে ও অনুধাবন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সপ্ন, আশা, ইচ্ছা সেখানে এসে বিদেশীরা ইন্ডাষ্ট্রি করবে এবং যেখানে আমাদের লোকজন চাকুরি নিবে। তবে পরিষ্কার এটা যে শিল্প কারখানায় চাকুরি নিতে হলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। না হলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গড়া শিল্প কারখানা চালাতে বিদেশ থেকে লোক আনবে তারা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনেক গার্মেন্টস, কম্পোজিট ফ্যাক্টরী রয়েছে যেখানে বড় বড় পদে বিদেশীরা চাকুরী করে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের সেখানে চাকুরী দেয়া হয় না, কারন সে যোগ্যতা তারা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেখানে আমাদের ছেলে-মেয়েদের চাকুরী দিতে চায়।
তিনি বলেন, টিটিসির প্রশিক্ষনগুলো খুবই মান সম্মত। এর মান আরো বাড়াবোর স্কোপ রয়েছে। প্রশিক্ষকদের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মনিটরিং করতে হবে। ঝোকের মাঝে অনেক শিক্ষার্থী আসছে কিন্তু শিক্ষার্থীর অবস্থা বুঝে তার সাথে কথা বলে সে কি চাচ্ছে সেটা জানতে হবে।
প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিদেশের কাজে বেতন বেশি। তারা বেতন বেশি দিলেও কাজ ১৬ আনাই আদায় করে নেয়, আমাদের দেশের মতো ৮ ঘন্টার স্থলে ৬ ঘন্টা কাজ করে আর বাকি দুই ঘন্টা গল্পগুজব-লাঞ্চ করে সময় কাটানো যাবে না। তাদের ওখানে ওয়ার্কিং হাওয়ার মানে ওয়ার্কিং হাওয়ার।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টিটিসি’র অধ্যক্ষ মো. গোলাম কবির, মহিলা টিসিসি’র অধ্যক্ষ আলী আহম্মেদ ইমরান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন।
অনুষ্ঠানে টিটিসি’র কারিগরি কোর্স সম্পন্ন করা ২৭৫তম ব্যাচের বিদেশগমনেচ্ছু ৫জন শিক্ষার্থীর মাঝে সনদ বিতরন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। এর আগে প্রতিমন্ত্রী টিটিসি ও মহিলা টিটিসি’র সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।