বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১
সাইফ উদ্দিন মিলন।।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষপট তুলে ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতি যখন হতাশ তখনই জিয়াউর রহমান কালুরঘাট স্টেশন থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে এদেশের ছাত্র-জনতাকে মুক্তিযুদ্ধের এক কাতারে নিয়ে এসেছিলেন। আর যারা শরণার্থী খেয়ে ধেয়ে এ দেশে ফিরে এসে হয়ে গেলেন বড় বড় মুক্তিযোদ্ধা। সেদিন মুক্তিযুদ্ধ কারা করেছিলেন আমরা সেনা বাহিনী সদস্যরা জানি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল জিলা স্কুলমাঠে মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র যখন দেখেছে বিজয় নিশ্চিত, মুক্তিবাহিনী বিজয়ের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে- তখন তারা কৃতিত্ব নেয়ার জন্য এসে যোগদান করেছে। ভারতীয় বাহিনী ছাড়াও আমরা এই দেশকে স্বাধীন করতে পারতাম।
মেজর হাফিজ বলেন, ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর হামলার পরের দিন যারা দুইদিন আগেও পল্টন থেকে শুরু করে বিভিন্নস্থানে বড় বড় গলাবাজি করেছেন তাদের আর দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, মেজর জিয়া ভারতে পালিয়ে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেনি। তিনি সরাসরি এদেশের রনাঙ্গনে পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করা সহ নিজেও যুদ্ধ করেছিলেন।
মেজর হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও গত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারি নাই। আমি প্রার্থী আমাকে ভোটের দিন পুলিশ ধরতে আসে যা পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক স্প্রীড বোর্ড দিয়ে সরিয়ে দেয়। এই হল একটি স্বাধীন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা ভোট। তাই আমাদের অনির্বাচিত ভোট ডাকাত সরকারের কাছ থেকে অবসান হওয়ার জন্য সকলকে মাঠে নামতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, আজকে আমরা সমাবেশ করছি, একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। এই সমাবেশ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাই। এই সরকারের অধিনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আজ বরিশাল থেকেই আমরা এই আন্দোলন শুরু করলাম।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, আন্দোলনের জন্য আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। আর জনগণের দাবিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আর আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই ছাড়বো।
সভাপতির বক্তব্যে মুজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, পুলিশ আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। অনুমতি দিয়েই গতকাল রাত থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। তাই গণতন্ত্র না থাকলে কোনো কিছুই হয় না।
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. মুজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, খুলনা মহানগর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু, চট্রগ্রাম মহানগর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, রাজশাহী মহানগর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন খান, ওবায়দুল আকরাম, আলমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে গত সিটি কর্পোরেশন ভোটে দলের মনোনীত মেয়রপ্রার্থীদের নেতৃত্বে বরিশাল মহানগর বিএনপির এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বরিশাল মহানগরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা সমাবেশে যাওয়া প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি করে। সমাবেশের শুরুতে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিকেল ৩টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।