রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ছাগল চুরির অপবাদে শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ তিন জনকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় রামভদ্রপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাকিম সরকারসহ (বাবু মাস্টার) আট জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার(০১ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শারীরিক প্রতিবন্ধী সৈয়দ শামীম হোসেন (১৮), রাকিবুল ইসলাম (১৯) ও নিশাতকে (১৬) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় শিক্ষক মোস্তাকিম সরকারসহ কয়েকজন। পরে ছাগল চুরির অভিযোগ এনে তাদের রামভদ্রপুর গ্রামের বুদ্ধিজীবী মোড়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। মারধর শেষে বাবু মাস্টারসহ তার সহযোগীরা তাদের শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। পরে ওই তিন জনকে পরিবারের লোকজন নিজেদের জিম্মায় নেয় এবং ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে কিছুটা সুস্থ হলে নিশাতকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শামীম হোসেন ও রাকিবুল ইসলাম। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা।
নির্যাতনের শিকার শারীরিক প্রতিবন্ধী শামীম হোসেন ও রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ করেই বাবু মাস্টারসহ তাদের লোকজন আমাদের মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে ছাগল চুরির অপবাদে পৈশাচিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন না সইতে পারে বাধ্য হয়ে মিথ্যা বলতে হয়েছি যে আমরাই চুরি করেছি। পরে তার লোকজন আমাদের পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে গলায় চাকু ধরে পায়ে সূচ দিয়ে খোঁচাতে থাকে।’
এ বিষয়ে রাকিবুলের বাবা মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক প্রতিবন্ধী ও আমার ছেলেসহ তিন জনকে ছাগল চোর সাজিয়ে বর্বর নির্যাতন চালায় বাবু মাস্টার ও তার সঙ্গীরা। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
বিষয়টি জানতে একাধিকবার অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তাকিম সরকারের (বাবু মাস্টার) বাড়িতে যাওয়া হলেও ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয় সে।
ফুলবাড়ী থানার ওসি বলেন, ‘হাসপাতালেও পুলিশ পাঠানো হয়েছে, ভুক্তভোগীরা সেখানে ভর্তি আছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’