শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
বিনোদন ডেস্ক।।
অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম। অভিনয় শিল্পী সংঘের সাথে যুক্ত আছেন দীর্ঘদিন। সাংগঠনিক দক্ষতায় সকলের কাছে হয়ে উঠেছেন সমাদৃত। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় চার বছর। সংগঠনটির প্রথম দুটি নির্বাচনে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন। এবার তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে অভিনয় শিল্পী সংঘের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে নির্বাচন করতে গিয়ে নিজের জন্য প্রচারণা চালানোর সময় পাচ্ছেন না। নাসিম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হচ্ছে। ভারমুক্ত থাকলে যেভাবে প্রচারণা চালানো যায় তা পারছি না। তবে সকল প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।’
২০১৭-২০১৯ এবং ২০১৯-২০২১ মেয়াদের নির্বাচনের সময় কোনো মহামারি ছিল না। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অতিমারিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ‘অন্য নির্বাচনগুলোয় প্রার্থীরা তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে আসতেন। এবার এমন কিছু নিরুত্সাহিত করছি। নির্বাচনের দিন প্রার্থী, ভোটার ও মিডিয়াকর্মী বাদে কেউ থাকবে না। সেদিন সকল প্রার্থী ও ভোটারকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ নির্দিষ্ট কয়েকজন শিল্পীকে নিয়ে নাটক নির্মাণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গল্প হয়ে যাচ্ছে এক ঘরানা।
এসব ব্যাপারে শিল্পী সংঘের কোনো ভূমিকা থাকবে কি না জানতে চাইলে নাসিম বলেন, ‘আমরা শিল্পীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছি। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি অনুকরণ না করে নিজেদের গল্প বললে দর্শকপ্রিয়তা পাওয়া যায়। নিজেদের গল্পে কাজের সুবাদে দর্শকের সাথে নাটকের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল তা মিটে যাচ্ছে। দর্শক নাটক দেখছে। ভালো অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে নাটক নির্মাণ করা হচ্ছে। কয়েকজন অভিনয়শিল্পীর দর্শক চাহিদা থাকার কারণে তাদের নিয়ে বেশি কাজ করা হতো। এখন সেটি কমে এসেছে।’ এবারের নির্বাচনে কোনো প্যানেল না থাকার বিষয়ে নাসিম বলেন, ‘প্রথম নির্বাচনে প্রার্থীরা ছোট ছোট স্টল করে খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। আগত শিল্পীরা এতে বিব্রতবোধ করেছিলেন। এজন্য শিল্পীদের সুবিধার্থে গতবার আমরা একটি প্যান্ডেল করে খাবারের ব্যবস্থা করি। গতবারের স্লোগান ছিল— জিতবে ২১, হারবে না কেউ। এবারও তাই আছে।’