শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
সর্বহারা
-সবুজ মাহমুদ
মুখ পোড়া তুই কোথায় ছিলি এত বেলা ধরে
আমার কি আর তোরে ছাড়া একটু সময় কাটে,
তুই যে আমার মানিক রতন এই কথা কি জানিস।
তুই যে আমার আন্ধার ভিঠায় একটিখানি পিদিম,
তুই যে আমার আপন জনা একথা কি মানিস?
কোথায় ছিলি এত বেলা আমায় ফেলে একা।
গিয়েছিলাম নদীর বাঁকে, ঐ বাটপাকুড়ের ঘাটে
সেথায় দুটো শ্বেত বলাকা খেলার ছলে ডাকে।
যাসনে আর নদীর বাঁকে, ঐ বটপাকুড়ের ঘাটে
ঐ ঘাটের-ই নদীর জলে, আমার কপাল শুধু পোড়ে।
এক মাঘের ঐ ভরদুপুরে মাছ ধরিতে গিয়েছিল তোর দাদু,
আর ফেরেনি ঘরে আমার তোর ঐ না দাদু।
এর পরেতে তোর বাবারে রাখলাম বুকে জরি
চোখের পাতা এক করি না, রাখি চোখি চোখি,
পুত্র টারে বুকে নিয়ে স্বপ্ন সদা দেখি।
স্বপ্ন ভাঙলো আবার পোষে, ঐ নদীরই জলে
পুত্র আমার দিল পারি না ফেরার ঐ দেশে,
তারই আবার সপ্তা পরে হারালাম তোর মাকে।
তুই ছাড়া আর বলনা আমার আপন কে বা আছে,
এই ভিটেটায় একটি প্রদীপ শুধু বেঁচে আছে।
তাই তো তোরে চোখের আড়াল করি কেমন করে,
যাসনে আর নদীর বাঁকে যদিও তোরে ডাকে।
আমি যে এক সর্বহারা আবার হারাই যদি তোরে
তুই ছাড়া মোর বাকি জীবন কেমন করে যাবে।
কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ।