শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
গণমাধ্যম ডেস্ক।।
রংপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের খবর সংগ্রহের সময় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান লিমন রহমানের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের প্রতিবাদে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদানসহ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ), রংপুরের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
রংপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় টিসিএর সভাপতি শাহ নেওয়াজ জনির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবু, সহ-সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার, যুগ্ম সম্পাদক মানিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, কার্যকরী সদস্য জাভেদ ইকবাল, সদস্য মাহবুবুল ইসলাম, টিসিএর সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ডেমি, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সুমন, বাংলাদেশ ফটো জর্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, সদস্য মঈনুল হক, রংপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আদর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জীবন, টিসিএর যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুকুল, কোষাধ্যক্ষ শরীফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, দফতর সম্পাদক এ কে এম সুমন মিয়া, সদস্য আলী হায়দার রনি, ফুয়াদ হাসান, আসাদুজ্জামান আরমান, নুর মোহাম্মদ, নাজমুল হোসেন, আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বেঁধে দেয়া ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে সাংবাদিক সমাজ। সভায় রংপুর প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সিটি প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রংপুর, রংপুর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। এরপর রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে প্রধান সড়কে ক্যামেরা রেখে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন শেষে পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ভাঙা মসজিদ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামেরাপারসন লিমন রহমানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা এবং এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাকে লাঠিপেটা করেন। এ সময় লিমনের সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ্ কাওসার ও উত্তম প্রসাদ পাঠকসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।