শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
স্পোর্টস ডেস্ক।।
বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব আল হাসান। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সূর্যকুমার যাদবের উইকেটসহ ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচা করেছিলেন তিনি। যা দেখে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রশংসা করতে একদমই দেরি করেননি জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে।
সাকিবের বোলিং শেষ হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে হার্শা লিখেছিলেন, ‘সাকিবের কাছ থেকে সাকিবের মতোই পারফরম্যান্স। আপনি নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, সাকিব কি কিছু করেছে? তারপর দেখুন তার ৪-০-২৩-১ (এর বোলিং ফিগার)।’
কিন্তু ম্যাচ শেষে আর হার্শার প্রশংসাবাক্য নিজের করে রাখতে পারেননি সাকিব। কেননা মাত্র ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি সাকিবের কলকাতা। যেখানে বড় একটা দায় নিতে হবে ব্যাটসম্যান সাকিবকেও। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ব্যাটিং না করে দলের পরাজয়ের পেছনে যে সাকিবের ব্যর্থতাও বেশ খানিকটা।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামানো হয় সাকিবকে। তখন জয়ের জন্য বাকি ছিল ৪৩ বলে ৪৯ রান। খানিক পরে আউট হয়ে যান হাফসেঞ্চুরিয়ান নিতিশ রানা (৪৭ বলে ৫৭)। তবে সমীকরণ ছিল সাকিবদের পক্ষেই। উইকেটে তখন সাকিব ও দীনেশ কার্তিক। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৩১ রান।
মুম্বাইয়ের পক্ষে ১৬তম ওভার করতে আসেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। তখন তেড়েফুঁড়ে খেলার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। কিন্তু প্রথম বল ডট দেয়ার পর দ্বিতীয় বলেই ছক্কার জন্য হাঁকান সাকিব। কিন্তু ধরা পড়ে যান ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো সূর্যকুমারের হাতে, সমাপ্তি ঘটে ৯ বলে ৯ রানের ইনিংসের।
সাকিবের আগে ঠিকই একইরকম কাণ্ডজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। আর সাকিব ফেরার পর গুবলেট পাকিয়ে ফেলেন বল হাতে রেকর্ড করা আন্দ্রে রাসেল। বিধ্বংসী এ ব্যাটসম্যান ১৫টি বল খেলে করতে পারেন মাত্র ৯ রান। আর কার্তিক শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ৮ রান করে।
শেষ পর্যন্ত কলকাতার ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৪২ রানে, ম্যাচ হারতে হয় ১০ রানের ব্যবধানে। অত্যধিক বাজে ব্যাটিং করায় দায়টা নিতে হবে রাসেল-কার্তিককেই। তবে হার্শার ভাবনা ভিন্ন। তিনি রাসেলকে খুব একটা দোষ দিতে চান না। হার্শার মতে, সাকিবেরই উচিত ছিল চেন্নাইয়ের ধীরগতির পিচে ম্যাচ শেষ করে আসা।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের ম্যাচ পরবর্তী আলোচনায় হার্শা বলেছেন, ‘এসব পিচের মাস্টার সাকিব। প্রায় নিয়মিতই এমন পিচে খেলে থাকে সাকিব। তারই উচিত ছিল নিজ দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়া। আমি রাসেলের বিষয়টা না হয় বুঝতে পারছি যে সে এমন ধীরগতির উইকেটে খেলতে পছন্দ করে না। কিন্তু সাকিবের উচিত ছিল ম্যাচ শেষ করা। এমন ধীরগতির পিচে খেলেই বড় হয়েছে সাকিব।’
ম্যাচ পরবর্তী এই আলোচনায় ছিলেন ভারতের বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক জয় ভট্টাচার্য্যও। তিনি নিজের আলোচনায় বলেছেন, প্রায় জয়ের ঘরে ঢুকেই গিয়েছিল কলকাতা। কিন্তু পারেনি। এর জবাবে রসাত্মক উপমা ব্যবহার করেন হার্শা।
তিনি বলেন, ‘জয় (ভট্টাচার্য্য) আপনি বললেন, তারা প্রায় ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু না! তারা তো আসলে ঘরেই ছিল, নিজেদের ড্রয়িং রুমে বসে আরাম করছিল। হুট করে কেউ একজন এলো, তাদের বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়ে বলল, তোমরা বাইরে (হাসি)!’