শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
সে
-বিচিত্র কুমার
একটা পুতুল পেয়েছিলাম শৈশবে,
ঠিক যেনো রূপকথার গল্পের নায়িকা ছিলো সে –
কে যেন আমার এক জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলো;
সে পুতুল সব সময় আমার সাথে খেলা করতো:
সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না দুষ্টুমিতে।
কয়েক বছর পর পুতুল টা –
হঠাৎ সে এক উড়ন্ত প্রজাপ্রতির রূপ নিলো;
এই বাগানে সেই বাগানে ফুরফুর করে উড়তো:
হাসি আনন্দ উল্লাসে।
আর আমি হলাম ভালোবাসার এক তরুণ শিল্পী
হৃদয় মন্দিরে এঁকেছিলাম তার মুখশ্রীর ছবি;
সে কোন এক বসন্তে বলেছিল – হাতে রেখে হাত
তুমি হতে পারবে আমার ভালোবাসার কবি।
তারপর থেকে সোহাগী ভাঙা স্টেশনে সে –
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার জন্যে অপেক্ষা করতো;
তার ভ্রমরকালো চুলগুলো ঝিরিঝিরি বাতাসে উড়তো
উতলা উতলা পড়ন্ত বিকেলে।
ইদানীং অবহেলায় অগুছানো যেন তুমি
ঠিক বদলে গেছো এই পৃথিবীর জলবায়ুর মতো;
এদিকে আমার হৃদয়ে অনাবৃষ্টি দেখা দিয়েছে
তবু এখনো তোমার অপেক্ষায় আছি।