শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
স্ত্রীর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে। এরপর স্ত্রীকে রেখে বাড়ি যাচ্ছেন বলে হাসপাতালে থেকে বেরিয়ে যান নূরুল আমীন ওরফে শুক্কুর আলী (৫৫)। কিন্তু বাড়ি না ফিরে ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজে গিয়ে নিচের ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
নূরুল আমীন ওরফে শুক্কুর আলীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাতিশুয়াইব গ্রামের। পেশায় কৃষক শুক্কুর আলী স্ত্রী রহিমা খাতুনকে নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকার ‘মৌ-শফি’ নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে সেখানে রহিমা খাতুনের পেটে পাথরের অস্ত্রোপচার হয়। স্ত্রীর সফল অস্ত্রোপচার শেষ হওয়ায় বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়ে যান ক্লিনিক থেকে। কিন্তু বাড়ি না ফিরে ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজে যান শুক্কুর। ব্রিজের ওপরে দাঁড়িয়ে নিচের ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দেন। এ দৃশ্য দূর থেকে কয়েক শিশু দেখে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার আবু জয় গিফারীর নেতৃত্বে ডুবুরি দল শুক্কুর আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ জানায়, তিন ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন নূরুল আমিন ওরফে শুক্কুর আলী। স্ত্রীকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করান। সফল অপারেশনও হয়। কিন্তু পারিবারিক নানা টানাপোড়েন থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার আবু জয় গিফারী বলেন, স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হন শুক্কুর। কিন্তু ব্রিজ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাপ দেন তিনি। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখে তাদের খবর দেয়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সোহেল রানা বলেন, পারিবারিক টানাপোড়েনের কারণে সেতু থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।