রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
সোমবার (২৪ আগস্ট) ১২ টায় ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন রিপোর্টার্স ইউনিটি সেগুন বাগিচা ঢাকা। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত ভাবে জানান সে অপহরণ হয়নি। আমার স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছি। তিনি নিম্নোক্ত পরিচয় উল্লেখ করেন। পিতা: ড: আমির হোসেন মাতা, মরহুমা হোসনে আরা, তার গ্রামের বাড়ি, শশীভূষণ দেওয়ান বাড়ী ডাকঘর থানা শশীভূষণ উপজেলা চরফ্যাশন জেলা ভোলা স্বামীর বর্তমান ঠিকানা ইকুরিয়া হাসনাবাদ হাউজিং থানা কেরানীগঞ্জ ঢাকা। এবং আমার সহিত ১১.৮.২০০৪ইং তারিখে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদার (৪৫) পিতাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার সাং চরলক্ষ্মীপুর থানা মুলাদী জেলা বরিশাল। বর্তমান ঠিকানা, ইকুরিয়া খালপাড়, ডাকঘর ঢাকা জুট মিলস ১৩১১ থানা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঢাকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমার পেশা শিক্ষাকতা ও গৃহিণী।প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে স্বামীর সংসারে ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলাধীন কেরানীগঞ্জ থানায় শুভাঢ্যা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
আমার স্বামী বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সাথে জড়িত। তিনি অতি চালাক চতুর প্রকৃতির মানুষ আমাদের নাবালিকা দুই কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের নাম যথাক্রমে আয়েশা মরিয়ম ঐশী (১২) এবং মায়িশা মেহরুন ঐফা (৯)।স্বামীর বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম কিন্তু আমার স্বামী সীমাহীন চাওয়া-পাওয়ার নিকট আমি হেরে গেছি। আমার পরিবার-পরিজন এর কাছে স্বামীর সম্মান এবং ইজ্জত ক্ষুন্ন হউক এমন কোন অভিযোগ করিনি ।আমি সম্পদ অর্জন করেছি যা স্বামীকে উজাড় করে দিয়েছি। আমি আমার স্বামীর কাছে যা চেয়েছি তা সে দেয়নি।আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েও পাপ জেনে সেপথ গ্রহণ করিনি।আমি শুধুমাত্র আমার কন্যা সন্তানদের কে বুকে জড়িয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছি। বিয়ে নামক সুখ আমি পাইনি। সেটি পাওয়ার প্রত্যাশা করি না আমি কখনো অপহরণ হয়নি বা আমাকে বা আমার সন্তানদেরকে কেউ অপহরণ করেনাই। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে পরকীয় ও চরিত্রহীন প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে এই বৈশ্বিক মহামারীতে আমার স্বামী মিজানুর রহমান আমাকে পাগল সাব্যস্ত করে। আল মামুন এবং নোমান আহমেদ এর মাধ্যমে গ্রীন রোড ব্রেইন এন্ড লাইভ নামক মানসিক হসপিটালে ভর্তি করায়। সেখানে আমি প্রায় দুইমাস থাকি। সেখান থেকে আসার পর আমার কাছ থেকে জোর করে সাদা স্ট্যাম্পেও লিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এবং তিনটি চেকের পাতায় স্বাক্ষর করাতে বাধ্য করে। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও অমানবিক নির্যাতন করে।সংগত কারণে এই অমানুষের সাথে কোন অবস্থায় সংসার জীবন পরিচালনা সম্ভব নয় বিধায় বিগত ১৫.০৩.২০২০ইং এলিফ্যান্ট রোড কাজীর অফিসে কাজীর মাধ্যমে ১৫.০৩.২০২০ইং তারিখে নোটারি হলফনামার মাধ্যমে তালাকে তাফাউজ প্রদান করি।
ইতোপূর্বে আমার স্বামী আচরনে আমার মনে হয়েছে স্বামী আমাকে যে কোন সময় অপহরণ বা মারাত্মক ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করতে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট (সি এইচ আর এম) নিকট ০৯.০৭.২০২০ইং তারিখে একটি মানবিক সহায়তা পাবার জন্য আবেদন করি। আমার আবেদনের পর আমার স্বামী আমাকে বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান ও হুমকী প্রদান করেছে। হাসনুর জান্নাত রিমাকে ভিকটিম দেখিয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৪ ঢাকা বিগত ইংরেজি ১৬.৮.২০২০ তারিখে একটি মিথ্যা পিটিশন মামলা দায়ের করা হয় যার মামলার নং ১১৯/২০ দ্বারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনীয় ২০০৩ তাং ৭/৮/৩০ বাদি মিজানুর রহমান। আসামি ১. জাহিদ ২. ফরাদ আপন দুই ভাই ৩. মামুন ভিকটিমের আপন বড় ভাই।
বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৪ ঢাকা বিগত ইংরেজি ১৬.৮.২০২০ তারিখে একটি মিথ্যা পিটিশন মামলা দায়ের করা হয় যার মামলার নং ১১৯/২০ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনীয় ২০০৩ এর ৭/৮/৩০ বাদি মিজানুর রহমান। আসামি ১. জাহিদ ২. ফরাদ আপন দুই ভাই ৩. মামুন ভিকটিমের আপন বড় ভাই।