বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
সৈয়দপুরের বিভিন্ন সড়কে ইদানীং সাদা আলোর ভয় মানুষকে আতঙ্কে ফেলেছে। সন্ধ্যা নামলেই সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। যে সাদা আলোর কথা বলা হচ্ছে তা মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, রিকশাভ্যানে লাগানো এলইডি লাইটের আলো। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের যানবাহনে হেডলাইট হিসাবে শুরু হয়েছে এর ব্যবহার। ফলে এ লাইটের তীব্র আলোতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন চালকদের।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২০ জন নিহত এবং ৩২ জন আহত হয়েছে। এসবের অন্যতম কারণ হেডলাইটের তীব্র সাদা আলো চালকদের চোখে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারানো। সংশ্লিষ্টদের মতে, সাধারণত গাড়ির হেডলাইট হয় তিন ধরনের হ্যালোজেন, জেনন ও এলইডি। এর মধ্যে সবচাইতে প্রচলিত হ্যালোজেন। এটিও সাদা আলো দেয়। তবে এলইডি লাইটের মতো তীব্র নয়। বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির আলোর কারণে চালকের দেখতে অসুবিধা হয়। তাই হেডলাইটের ওপরের অংশে দুই ইঞ্চি জায়গা কালো কালির প্রলেপ লাগিয়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে এখন আর তা মানছেন না কেউ।
শহরের ইসলামবাগ এলাকার মোটরসাইকেল চালক আরিফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে চৌমহনীর দিকে যাচ্ছিলাম। ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন জমিদার পচা সরকার সেতু পার হওয়ার পরই হঠাৎই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির তীব্র সাদা আলোয় ডানে-বায়ে বা সামনে কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। অনেকটা আন্দাজে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ নেই। ঐ সময় সড়কে গাড়ি কম থাকায় কোনো দুর্ঘটনায় পড়তে হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আরমান হোসেন রনি জানান, এলইডি হেডলাইটের আলো যদি সরাসরি চোখে পড়ে, তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হয়। এমনকি এতে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পরিদর্শক নাহিদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, শহরে এসব এলইডি লাইট ব্যবহারী গাড়িকে আটকানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে যানবাহন চালকদের। ভেঙে দেওয়া হয়েছে এলইডি লাইট। তবুও লোকজন সচেতন হচ্ছেন না। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।