শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
দীর্ঘ ৫ বছর প্রেমের পর বিয়ে হয় সোনিয়া ও মামুনের। কিন্তু বিয়ে হতেই এতদিনের পরিচিত মানুষটি পাল্টে যায়! অভিযোগ উঠেছে, যৌতুকের দাবিতে সোনিয়াকে নির্যাতন শুরু করেন মামুন। এরপর সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিয়ের মাত্র ৪ মাসের মাথায় সোনিয়া খাতুনকে (২১) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগও এখন স্বামী মামুন শরীফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীসহ বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছেন। মামুনের বাড়ি উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের পাথালিয়া পাড়া গ্রামে। আর সোনিয়া একই ইউনিয়নের পূর্ব চর-কৈজুরি গ্রামের সৈয়দ মোল্লার মেয়ে।
সোমবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিয়েছেন।
সোনিয়ার স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, পাথালিয়া পাড়া গ্রামের সামাদ বেপারীর ছেলে মামুন শরীফুল ইসলামের সঙ্গে সোনিয়ার ৫ বছর প্রেমের পর দুই পরিবারের সম্মতিতেই ৪ মাস আগে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন সোনিয়ার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
এক পর্যায়ে গত শনিবার সোনিয়া বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি গেলে পরদিন রোববার গভীর রাতে সোনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে নিহতের ভাই হাফেজ মো. রেজাউল করিম অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, রোববার রাতে সোনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সোমবার সকালে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়ার নাটক করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু কোন হাসপাতালেই সোনিয়াকে নেওয়া হয়নি। পরে তারা লাশ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।
সোনিয়ার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।