রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবার অনশনের ডাক দিয়েছেন ভারতের আন্দোলনরত কৃষকরা। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টার অনশনের ডাক দিয়েছেন তারা। এই সময়ে তারা কোনো খাবার গ্রহণ করবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। নিজেদের আন্দোলন আরো জোরদার করতে অনশন পালন করা হবে বলে কৃষক নেতারা জানিয়েছেন।
এদিকে কৃষকদের আজকের অনশনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যোগ দেবেন বলে ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
কেজরিয়াল বলেন, ‘আমি কৃষকদের অনশনে যোগ দিব। এই সময়ে আমি কোনো খাবরও গ্রহণ করবো না। আম আদমি পার্টির স্বেচ্ছাসেবকদেরও আমি অনশনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারের উচিত দ্রুত কৃষকদের দাবি মেনে নেয়া এবং সর্বনিম্ন সহায়ক দাম (এমএসপি) নির্ধারণে বিল পাস করা।’
গত ১৮ দিন ধরে দিল্লি সীমানা অবরোধ করে বসে রয়েছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। কিন্তু ভারত সরকার এখনো কৃষকদের দাবিতে সাড়া দেয়নি। এই অবস্থায় বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের প্রধানরা সোমবার একদিনের অনশন ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেন।
কৃষক নেতা গুরনাম সিং চাদুনি বলেন, ‘আজ থেকেই কৃষকদের চলমান এই আন্দোলন আরো তীব্র।’
তিনি জানান, বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের নেতারা যে যেখানে আছেন, সেখানে বসেই তারা অনশন করবেন। পাশাপাশি দেশজুড়ে প্রতিটি জেলার সদর দফতরেও বিক্ষোভ চলবে। এ ছাড়া দিল্লির সীমানায় প্রতিদিন যেভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে, তা চলবে।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলনে কোনো সুরাহা না হওয়ায় ভারত সরকারও অস্বস্তিতে রয়েছে। গত পাঁচ দিনে আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের কাছে প্রায় দুই কোটি মেইল পাঠিয়েছে কেন্দ্রী সরকার। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পরে শিখদের জন্য যে ১৩ দফা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন, তার বস্তিারিত তুলে ধরা হয়েছে এসব মেইলে। তবে এখন পর্যন্ত তাতে বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। কৃষকরা দাবি আদায়ে তাদের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে চলমান কৃষক আন্দোলনে সংহতি জানাতে পদত্যাগ করেছেন পাঞ্জাবের ডিআইজি (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল) প্রিজন লক্ষিন্দর সিং জাখার। শনিবার পদত্যাগের পর জাখার বলেন, ‘আমি সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছি। আমার পদত্যাগপত্র গৃহীত হতে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করি না।’