শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
রাজশাহীর দুর্গাপুরে যৌন রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে কবিরাজের বাড়িতে স্বপন (২২) নামের এক নববিবাহিত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার হাট কানপাড়া এলাকার বাজুখলশী গ্রামে কথিত কবিরাজ নাসির আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
তবে ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
নিহত স্বপন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দাসগ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
কথিত কবিরাজ নাসির আলী জানান, গত ৭ নভেম্বর স্বপন যৌন সমস্যার চিকিৎসা নিতে আসে। বুধবার দুপুরের খাবার খেতে স্বপনকে খোঁজাখুঁজি করেন তিনি। বিকাল ৪টার দিকে বাড়ির একটি কক্ষে স্বপনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শমসের আলীকে জানালে তিনি থানায় খবর দেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, স্বপন প্রায় দেড় মাস আগে স্ত্রীসহ চিকিৎসা নিতে কবিরাজের বাড়িতে যায়। প্রায় এক মাস কথিত কবিরাজের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে সে। এরপর গত ৭ নভেম্বর পুনরায় একা চিকিৎসা নিতে নাসিরের বাড়িতে যায় স্বপন। কথিত কবিরাজ নাসির স্বপনের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আবারও নাসির উদ্দিন তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছিল বলে তারা জানান।
কবিরাজের একাধিক প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নাসির বিনা টাকায় চিকিৎসা দেবেন এমন কথা থাকলেও পরে বারবার টাকা দাবি করায় ওই যুবকের সঙ্গে নাসিরের বাকবিতণ্ডা হয়। টাকা না পেয়ে নাসির বিতণ্ডার একপর্যায়ে স্বপনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের ভেতর গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে বলে তাদের ধারণা। সঠিক তদন্ত করলেই প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এর আগেও নাসিরের বাড়িতে চিকিৎসা নিতে এসে একাধিক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। ঘটনাটি যেহেতু দুর্গাপুরের তাই নিহতের স্বজনরা সেখানে অভিযোগ করতে পারবেন।
দুর্গাপুর থানার ওসি খুরশিদা বানু কণা জানান, লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।