মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
চীনের স্বর্ণখনিতে আটকে পড়ার ১৩ দিন পর অবশেষে ১১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) তাদেরকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।। তবে খনিতে এখনও নিখোঁ রয়েছে অন্তত ৯ জন শ্রমিক। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা অজানা। উদ্ধারকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিখো৭জদের সন্ধান পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ১০ জানুয়ারি চিনের শানডং প্রদেশের হুশানে এক সোনার খনিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ঝাওজিন নামের ওই খনিটির মালিক শানডং উকাইলং ইনভেস্টমেন্ট। এটি চীনের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার খনি। বিস্ফোরণের ফলে পাতালেই আটকে পড়েন খনিতে কাজ করা ২২ শ্রমিক। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েচে। দুর্ঘটনার পর থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে উদ্ধারকারী দল একটি সরু সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে ওষুধ এবং খাবার সরবরাহ করেছিল।
রবিবার সকালে প্রথম শ্রমিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধার করা এই শ্রমিকের চোখ কালো কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। আলো পড়ার কারণে চোখ যেন নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই শ্রমিক শারীরিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার এক ঘণ্টা পর খনির বিভিন্ন অংশ থেকে আরও ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন আহত ছিলেন। বাকিদেরকে উদ্ধারকারীদের সহায়তা নিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। সবাইকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চীনে প্রায়ই খনি দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। সরকারি বিধি-নিষেধ অগ্রাহ্য করে খনির কাজকর্ম পরিচালিত হওয়ার ফলে প্রতি বছরই বহু শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চোংকিং শহরে একটি খনিতে আটকা পড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ডায়াসুইডং কয়লা খনিতেও দুর্ঘটনায় ২৪ জন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন। পরে কয়েকজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বেশিরভাগ শ্রমিক কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণে প্রাণ হারান। গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি কয়লা খনিতে কার্বন মনোঅক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কমপক্ষে ১৬ শ্রমিক প্রাণ হারান।