রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা।।
বরগুনায় মৃত্যুঝুকি নিয়েই চলছে খেয়া পারাপার। প্রতিদিন শতশত নারী পুরুষ-শিক্ষার্থী, শিশু ও বরগুনা জেলা শহরে অবস্থিত অফিসগামী মানুষ এই খেয়াপার হয়ে যাতায়াত করে থাকে। পায়রা ও বিষখালী খরস্রোতা নদী আমতলী হতে পুরাকাটা ও বামনা হতে ফুলঝুড়ি যেতে হলে প্রায় তিন কিলোমিটার নদী পাড়ি দিয়ে।
প্রায়ই ঝড় ও প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে যাত্রীবাহী ট্রলারগুলো। পায়রা নদীর প্রবল স্রোত ও ভয়াবহতার দিক বিবেচনা করে প্রতিটি খেয়ায় ২ জন মাঝি ও ২০-২৫ জন যাত্রী পারাপারের কথা থাকলেও প্রতিটি খেয়ায় ১ জন মাঝি, ৮-১০টি মোটর সাইকেল ও ৪০-৫০ জন যাত্রী পারাপার করে থাকে।
মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই নিরাপত্তা সামগ্রী বয়া, লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই চলছে আমতলী-পুরাকাটা খেয়া পারাপার (ট্রলার সার্ভিস)। কোনো ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী নেই আমতলী-পুরাকাটা ও বামনা-ফুলঝুড়ি খেয়া পারাপারে। এসব অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা দেখার কেউ নাই। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
দীর্ঘদিন যাবৎ আমতলী-পুরাকাটা ফেরিঘাটের পন্টুন ব্যবহার করে খেয়া পারাপার অব্যাহত রয়েছে। বরগুনা জেলা শহরে আমতলী ও বরগুনার শত শত লোক প্রতিদিন এই খেয়া পারাপার হচ্ছে। বরগুনা জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে খেয়াঘাট ইজারা প্রদান করা হয়।
সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সেতু আকতার বলেন, আমরা ঝড় বৃষ্টির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হই। খেয়াগুলোতে জীবন রক্ষাকারী কোন সামগ্রী নাই।
স্থানীয় মাহবুবুল আলম বলেন, কোন ধরনের নজরদারি ছাড়াই প্রতিদিন বহু মানুষ খেয়াপার হয় কোন ধরনের জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী ছাড়াই। এখানে প্রশাসনের জরুরি নজর দেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে খারাপ আবওহাওয়ার দিনগুলোতে।
খেয়া ঘাটের ইজারাদার শ্যামল চন্দ্র বলেন, সরকারি নির্দেশনা পেলে আমরা উপকরণগুলো রাখার ব্যবস্থা করব।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পরিষদের প্রধাননির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা সামগ্রীর বিষয় ইজারাদারকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।