সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন ২০১৮ সালের ব্যাচ। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী মাজারের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে এ দাবি জানানো হয়।
শিক্ষক সংকট দূর করতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০১৮ সালের নিয়মিত ব্যাচ এবং ২০১৪ সালে স্থগিত (২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষার্থীদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি করে আসছেন তারা। এর আগে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। কিন্তু নতুন করে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। করোনার সময় আন্দোলন বন্ধ রাখলেও প্যানেল প্রত্যাশীরা মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) আবারও আন্দোলন শুরু করেন।
মানববন্ধনে প্রাথমিকের ‘সহকারী শিক্ষক প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮’ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ সালের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। করোনা ভাইরাসের কারণে এতদিন নিয়োগ বন্ধ থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি রয়েছে, আমরাও চাকরি থেকে বঞ্চিত রয়েছি। আমরা চাই, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করা হোক।’
মো. আব্দুল কাদের জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে মানববন্ধন করে দাবি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সেখানে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি, বেকারত্ব দূর করতে যেন নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি অঙ্গীকার ছিল ঘরে ঘরে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া। আমরা আশা করবো, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আমাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। আমরা প্যানেলে নিয়োগ পেতে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। মন্ত্রণালয়ে গিয়েও আশানুরূপ কোনও ফল পাইনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের শেষ ভরসার জায়গা।’
২০১৪ সালে স্থগিত (২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত) প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির আহ্বায়ক সালেহা আক্তার বলেন, ‘করোনার সময়ে অনেক সেক্টরেই প্যানেল থেকে নিয়োগ দিচ্ছে। আমরা এই মহামারির অনেক আগে থেকেই আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পেশ করে প্যানেলে নিয়োগের জন্য বার বার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমরা প্যানেলে নিয়োগ চাই, নয়তো চার বছর ফেরত চাই।’