শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের ছাতকে তিন তিনটি ধর্ষণের ঘটনায় সচেতন মহল অসুস্থ্যতা বোধ করছেন। গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে নয় বছরের কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের বিনন্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান মোস্তফার ছেলে ধর্ষক মো: ইয়াছিন ও ১৯ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষনের ঘটনায় দোলার বাজার ইউনিয়নের লকমসুম গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে ধর্ষক সুমন মিয়া। ২৪ ঘন্টায় এতিম ও নয় বছরের কিশোরীসহ পৃথক তিন ধর্ষণের ঘটনায় ছাতক থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ধর্ষকদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরন করা হয়।
বুধবার দু’ধর্ষকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। কালারুকা ইউনিয়নে ১৮ বছরের এতিম কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় মুক্তিরগাঁও হরিশপুর গ্রামের আজর আলী বতাই মিয়ার ছেলে ও কালারুকা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বাতিজা ধর্ষক রাসেল মিয়া বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক সেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দশ প্রদান করেন। জানা যায়, ভিকটিম ১৮ বছরের এতিম কিশোরী কালারুকা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে থাকে। ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বাতিজা ধর্ষক রাসেল মিয়া ভিকটিমকে ঘটনার দিন জোরপূর্বক ধর্ষন করে। পরে ভিকটিমকে বিয়ের ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সিলেট মেজরটিলা ধর্ষক রাসেল মিয়া’র বন্ধু জাবেদ মিয়া’র বাসায় নিয়ে যায়। কিন্ত বিয়ে না করে তার বন্ধুর বাসায় ফের ভিকটিমকে ধর্ষন করে।
গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে নয় বছরের কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক মো: ইয়াছিন তার বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পানি সেচ পাম্প চালু করতে পানি ঢেলে সহযোগীতা করার কথা বলে ভিকটিম কিশোরীকে নিয়ে যায়। প্রায় ঘন্টা খানেক পর ভিকটিম কিশোরী বাড়ীতে ফিরে তার মায়ের কাছে ধর্ষক মো: ইয়াছিন কতৃক ধর্ষণের ঘটনাটি জানান। ভিকটিম কিশোরীর অতিরিক্ত রক্তকরণ ও ব্যাথা অনুভব হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওআইসিসি ইউনিটে ভর্তী করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাতক থানার এসআই ইমরান, এসআই আনোয়ার বিজ্ঞ আদালত কতৃক জামিন নামঞ্জুর এর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম বলেন, আসামী রাসেল মিয়া, বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক সেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। এ বিষয়ে ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।