সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী বার্তা।।
সারাদিন খুব ক্লান্ত লাগে, অবসন্ন লাগে? কোনো কাজ করতে মন চায় না? মনে হয় কেবল বিশ্রাম নেই। শরীর ব্যথা করে, ম্যাজম্যাজ করে। ঘুমঘুম ভাব হয়। আজকাল রোগীরা প্রায়ই এমন সব সমস্যার কথা বলেন।
আদিম যুগে মানুষ শিকারি ছিল, বৈরী পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হতো। তখন তাকে সাহায্য করত নানা স্ট্রেস হরমোন, যেমন কর্টিসল, এপিনেফ্রিন ইত্যাদি। বর্তমানে মানুষের স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ধরণ আলাদা। এখনও প্রচুর স্ট্রেস হরমোন তৈরি হয় বটে, কিন্তু তা আগের মতো খরচ হয় না। এই স্ট্রেস হরমোনের ক্ষতিকর প্রভাবে আমাদের ডায়াবেটিস রোগ হয়, রক্তচাপ বাড়ে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, অবসাদ বাড়ে, বিষণ্নতা বাড়ে, এমনকি ওজনও বাড়ে।
স্ট্রেস হরমোনের এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি লাভের উপায় হলো-
১. মানসিক চাপ কমানো
২. নিয়মিত ব্যায়াম বা পরিশ্রম করে হরমোনের লাগাম টেনে ধরা
৩. সঠিক খাদ্যাভ্যাস।
৪. নামাজ-রোজা আদায় করা/প্রার্থনা করা
৫. যোগব্যায়াম
৬. মানবসেবায় নিয়োজিত হওয়া
৭. গাছপালা বা পশুপাখির পরিচর্যা
৮. পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটানো
৯. ঘুরতে যাওয়া
১০. যথেষ্ট ঘুম
এমন নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আপনি স্ট্রেস হরমোন কমাতে পারেন। ভাবছেন সারাদিন এত পরিশ্রম করি, তারপর আবার ব্যায়াম? আসলে এই নিত্যনৈমিত্তিক পরিশ্রমে স্ট্রেস হরমোন খরচ হয় না, বরং ক্লান্তি বাড়ে।
স্ট্রেস হরমোন কমাতে সপ্তাহে অন্তত ৫দিন ৩০ মিনিট করে এমনভাবে হাঁটতে হবে, যাতে হৃৎস্পন্দন বাড়ে, রক্ত চলাচল বাড়ে। যত কাজই থাকুক, রাতে নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম চাই ৭ থেকে ৮ ঘন্টা। ঘুমের আগে ফেসবুক, মুঠোফোন, টিভি দেখা বন্ধ করুন।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।